
দেশচিন্তা ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নাটকীয়তার সৃষ্টি করে একেবারে শেষ মুহূর্তে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের আলোচিত প্রার্থী জননেতা অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। দিনভর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে তিনি নির্ধারিত সময়ের শেষ প্রান্তে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
সারাদিন ধরেই ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ছিল—শামসুজ্জামান হেলালী আদৌ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন কি না। এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, চট্টগ্রাম-১০ আসনটি জামায়াতের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোট শরিক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এসব আলোচনা ও অনিশ্চয়তা নির্বাচনী মাঠে নতুন মাত্রা যোগ করে।
তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ মুহূর্তে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমীর নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার আগমনের সঙ্গেকম সঙ্গে এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে দলের স্থানীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আমীর নজরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নগর সভাপতি এস এম লুতফর রহমান,হালিশহর থানা আমীর নগর কর্মপরিষদ সদস্য ফখরে জাহান সিরাজী, ডবলমুরিং থানা আমীর নগর কর্মপরিষদ সদস্য ফারুক আজম,পাচঁলাইশ থানা আমীর প্রকৌশলী মাহবুবুল হাছান রুমি, ইসলামী ছাত্রশিবির নগর উত্তরের সেক্রেটারি মুমিনুল হক, খুলশী থানা আমীর অধ্যপক আলমগীর ভূইয়া,পাহাড়তলি থানা আমীর নুরুল আলম, আইনজীবি থানা আমীর এড আরিফুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবি এড শামসুল ইসলাম, এড,শাহাবুদ্দিন এড মোজাফফর আহমদ, সিবিএফ নেতা রাশেদুল আজম মন্জুর সাবেক কাউন্সিলর জননেতা মাহফুজুল আলম, জননেতা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, সাংবাদিক এবিএম ইমরানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা এ সময় পারস্পরিক শুভেচ্ছার মাধ্যমে তাদের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানান।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসনের জনগণের প্রত্যাশা ও অধিকার আদায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে তিনি একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেন।
শেষ মুহূর্তের এই সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচনী রাজনীতিকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।










