
দেশচিন্তা ডেস্ক: বড় লক্ষ্য, শুরুটাও ছিল না আশানুরূপ। তাতে জয় দিয়ে আসর শুরুর স্বপ্ন বড় হচ্ছিল সিলেট টাইটান্সের। তবে ক্রিজে নেমে সব ওলটপালট করে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে জয় উপহার দিলেন এ অধিনায়ক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মুশফিকুর রহিমও ফিফটির ইনিংসে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
সিলেটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিপিএলের দ্বাদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারালো রাজশাহী। ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে পদ্মা পাড়ের দলটি। শান্ত ১০১ আর মুশফিক ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ৮ বলে ১০ রান করে দলীয় ১৯ রানে আউট হন তানজিদ হাসান তামিম। শাহিবজাদা ফারহানকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৯ বলে ২০ রান করে দলীয় ৬২ রানে আউট হন ফারহান। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। ৩৬ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরও মারকুটে হয়ে ওঠেন রাজশাহীর অধিনায়ক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ মুশফিক।
৫৮ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। অন্যদিকে বড় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মুশফিক ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিলেটের হয়ে মিরাজ ও খালেদ ১টি করে উইকেট পেলেও হতাশ করেছেন মোহাম্মদ আমির ও নাসুম আহমেদ।
এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ফিফটির ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯০ রানের পুঁজি পেয়েছিল সিলেট টাইটান্স। ৩৩ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমন। এছাড়া রনি তালুকদার ৪১, আফিফ হোসেন ৩৩ আর সাইম আইয়ুব ২৮ রান করেন। রাজশাহীর হয়ে ৩৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সন্দ্বীপ লামিচানে। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন বিনুরা ফার্নান্দো ও তানজিম হাসান সাকিব।
দ্বাদশ আসরের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাতে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের মুখোুমখি হবে চট্টগ্রাম রয়্যালস।










