
দেশচিন্তা ডেস্ক: জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মিস ইউনিভার্স ২০২৫-এর মঞ্চে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের বিজয়ীর নাম। ফাইনাল পর্বে সেরা সুন্দরীর খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছেন মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশ।
৭৪তম মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত পর্ব শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের নন্থাবুরির ইমপ্যাক্ট চ্যালেঞ্জার হলে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই বিশ্বের ১৩৬ প্রতিযোগী পেছনে ফেলে বিজয়ের মুকুট পরেন ফাতিমা।
মেক্সিকোর তাবাস্কো অঙ্গরাজ্যের সান্তিয়াগো দে তেয়াপার মেয়ে ফাতিমা। সেখানেই পড়াশুনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে। স্কুলজীবনে ডিসলেক্সিয়া ও এডিএইচডির কারণে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন।
তবু থেমে থাকেননি। নিজের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি সমাজসেবা ও মানবকল্যাণে সময় দিয়েছেন। ৯ বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেও কাজ করেছেন।
২০১৮ সালে তাবাস্কোতে ‘ফ্লোর ডি ওরো’ খেতাব জয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পথচলা। এরপর তাবাস্কোর প্রথম নারী হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো’খেতাব জয় করে চলতি বছর ইতিহাস গড়েন।
আত্মবিশ্বাস, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও দৃঢ়তাই তাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে সাফল্যের দুয়ারে। তবে আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে এসেও নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন এ সুন্দরী।
কিছুদিন আগে ‘মিস ইউনিভার্স’ ২০২৫’-এর আয়োজকদের কর্মকর্তা নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিল অভিযোগ তোলেন, ফাতিমা থাইল্যান্ডকে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে যথেষ্ট প্রচার করেননি। তিনি ফাতিমাকে নানাভাবে নিচু করার পর‘ডাম্বহেড’ (বোকা) বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে গেলে অনেক প্রতিযোগী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে ফাতিমা বলেন, তিনি আমাকে ‘ডাম্ব’ বলেছেন। এটি অন্যায়। কেউ আমাকে চুপ করাতে পারবে না।’
ফাতিমা আরও বলেন, আমি নিজের কথা বলতে ভয় পাই না। আমার কণ্ঠ এখন আগের চেয়েও শক্তিশালী। আমার বলার মতো অনেক কিছু আছে। আমি সাজানো পুতুল নই, যার জামা বদলানো হবে, সাজানো হবে। আমি এখানে এসেছি সেইসব নারী ও মেয়েদের কণ্ঠস্বর হতে, যারা তাদের অধিকার ও স্বপ্নের জন্য লড়াই করছে।
এ খবর ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন’ পর্যন্ত পৌঁছালে নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিলের আচরণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন সংস্থার সভাপতি রাউল রোচা
অশালীন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা সে ফাতিমাই এবারের মিস ইউনিভার্স। তবে মঞ্চে তার নাম ঘোষণা করার পর দর্শকের একটি বড় অংশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। অনেকেই মেক্সিকোর এ সুন্দরীকে ‘মিস ইউনিভার্স’ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ২ নভেম্বর থাইল্যান্ডে শুরু হওয়া মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী তানজিয়া জামান মিথিলা পিপলস চয়েজে সেরা ৩০ ছিলেন। তবে এরপর সেরা ১২–তে আসার লড়াইয়ে বাদ পড়েন তিনি।










