
দেশচিন্তা ডেস্ক: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন।
আজ ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম (এম.টি.এফ)-এর উদ্যোগে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এম.টি.এফ সংগঠনের সভাপতি মোঃ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি-ড. জাকির হোসেন, বারিটের সিনিয়র টেকনোলোজিষ্ট নূর মোহাম্মদ, মোঃ লিয়াকত হোসেন, মোঃ মাহমুদ হাসান, মোঃ আনসার আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ তৌহিদ হাসান, মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ নাজমুস সাকিব, এবং ছাত্র প্রতিনিধি মো সিয়াম ও শামীম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এম.টি.এফ এর সভাপতি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারকে হুসিয়ার করে বলতে চাই যদি আমদের টেকনোলজিস্টদের দাবী মেনে না নেন তাহলে অনতিবিলম্বে কর্মবিরতি দিতে বাধ্য হবো। আর আমরা একদিন কর্মবিরতিতে গেলে দেশের চিকিৎসা খাতে ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হবে এবংন এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হবে।
স্বাস্থখ্যাতে অবহেলিত জাতি হলাম আমরা টেকনোলজিস্টরা । আমাদের দ্রুত ১০ম গ্রেড উন্নীত করুন। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে এই সেক্টরে দূর্নীতি কমবে না।
সকল দূর্নীতি বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করুন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডিপ্লোমা ও বিএসসি যারা তাদের মাধ্যমে সেম্পল কালেকশন, প্যাথলজিক্যাল টেস্ট, এক্সরে, সিটি- স্ক্যান, এমআরআই ও ফার্মেসী বিভাগ গুলোতে কিছু নন ডিপ্লোমা বা অপশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। তাদের অপচিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের জীবন ঝুকিপূর্ণ দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাতে সাধারণ মানুষ আমাদের মা-বাবা, ভাইবোন ও স্বজনরা নিয়মিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা মাঠে নেমে তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। করোনা মহামারী, প্রতিবছর ডেংগু, নিপাহ ভাইরাস সহ বিভিন্ন মহামারিতে জনগণের জীবন বাঁচাতে তারা সবসময় সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। অথচ আজও তারা ন্যায্য ১০ম গ্রেড থেকে বঞ্চিত-যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বৈষম্যমূলক।
বক্তারা হুশিয়ার করে বলেন, “সরকার যদি অন্যান্য ডিপ্লোমাধারী সম যোগ্যতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের ১০ম গ্রেড দিতে পারে, তবে স্বাস্থ্যব্যবস্থার মেরুদণ্ড-এই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বছরের পর বছর কেন বঞ্চিত রাখা হচ্ছে? কেন তাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন হচ্ছে না?
গত বছর বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সারা দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনের ও তারপর পেশাজীবি সংগঠন বৈষম্য বিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের উদ্যোগে ফাইল ওয়ার্কিং এর প্রেক্ষিতে মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জনাব নূরজাহান বেগম ঘোষণা দিয়েছিলেন যে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, “এই আশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখেই এতদিন আমরা কোনো কর্মবিরতি কিংবা কঠোর আন্দোলনে যাইনি। কিন্তু এটাই আমাদের শেষ ধৈর্য।”
স্মারক:মে: টেঃ ফো:/মানব/২০২৫/০১ আর কোনো আশ্বাস নয়-সরাসরি সিদ্ধান্ত চাই,
মানববন্ধনে তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন: “জনপ্রশাসনে মন্ত্রণালয়ে যদি ১০ম গ্রেড বিষয়ে নতুন করে ফাইল ওয়ার্কিং বা কোয়ারীর নামে কোন নাটক সৃষ্টি করে, তাহলে সারাদেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবেন।
বক্তারা আরও বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা অচল হলে এর দায়ভার পুরোপুরি সরকারের। আমরা আর কোনো অজুহাত বা আশ্বাস গ্রহণ করব না-এবার চাই কেবল লিখিত সিদ্ধান্ত।” জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা সচল রাখতে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের প্রতি ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর আহ্বান জানান তারা।










