
দেশচিন্তা ডেস্ক: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে জসিম মোল্লার জালে ধরা পড়েছে প্রায় ৮০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির একটি পাখি মাছ। স্থানীয়ভাবে এই মাছকে গোলপাতা মাছও বলা হয়। পাখি মাছ মাঝে মাঝে ধরা পড়লেও এত বড় আকারের মাছ দেখা যায় না বললেই চলে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গেই কৌতূহলী মানুষজন ভিড় জমায়। এমনকি কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরাও মাছটি এক নজর দেখতে বাজারে ছুটে আসেন।
মৎস্য আড়তদারদের জানান, মাছটির পিঠজুড়ে পাখার মতো বিশাল অংশ থাকায় স্থানীয়ভাবে একে পাখি মাছ নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিশ। মহাসাগরের দ্রুতগামী প্রাণীদের মধ্যে এটি অন্যতম, ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। শিকার ধরার সময় এরা শরীরের রংও বদলাতে সক্ষম।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী নাসির মুন্সী বলেন, উপকূলে এ ধরনের মাছের চাহিদা খুব বেশি নয়। তাই এর দামেও তেমন ওঠানামা হয় না। তবে মেসার্স সানজিদা ফিসের ব্যবসায়ী রফিক পাটোয়ারী মাছটি ৩১২ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার টাকায় কিনে নেন।
জেলে জসিম মোল্লা বলেন, জাল তুলতেই অন্য মাছের সঙ্গে এই পাখি মাছটিও উঠে আসে। এত বড় মাছ ধরা সত্যিই সৌভাগ্যের, কিন্তু চাহিদা কম থাকায় বেশি দাম পাওয়া যায়নি।
ক্রেতা রফিক পাটোয়ারী বলেন, এ ধরনের মাছ সচরাচর হাতে আসে না। দেশে নামিদামি রেস্টুরেন্টে এর ভালো চাহিদা রয়েছে, আবার বিদেশেও রপ্তানি হয়। মাছটি পরিস্কার করে কক্সিটে ঢাকায় পাঠানো হবে। ভালো দামে বিক্রি হবে বলেই আশা করছি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, পাখি মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে বাস করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিশ। এটি স্বাদে উন্নত এবং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। আন্তর্জাতিক বাজারেও এ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।















