
দেশচিন্তা ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বচান হবে ন্যায়বিচার ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে বিশ্ব খাদ্য ফোরামের (ডব্লিউএফএফ) সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের শক্তি পুনরুদ্ধার করেছে- গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল তরুণ প্রজন্ম- সাহস ও আশায় ভরা তরুণ-তরুণীরা। তাদের দাবিটা ছিল সহজ, ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দাও। আর ন্যায়, অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে একটি সমাজ গড়ে তোলো।
তিনি বলেন, আজ সেই তরুণরাই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের কাজে যুক্ত। তারা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ছে, যেখানে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ,
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছি, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।
বাংলাদেশের কৃষি আরও সবুজ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি । শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।