
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতের একজন নেতা চেষ্টা করছেন, এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভ করা সেই জামায়াত কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বহিষ্কারের ঘটনাটি ঘটলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জামায়াত থেকে বহিষ্কার করা ওই কর্মীর নাম মো. রুবেল আনসারী। তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রুবেল আনসারীকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানিয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াত। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রুবেল আনসারীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা ভিত্তিহীন। তিনি ফেসবুক লাইভে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। এর ফলে সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিমকে থানায় সোপর্দ করেন পৌর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তখন উপজেলা জামায়াতের রুকন মো. জাহাঙ্গীরও থানায় যান।
এ সময় রুবেল আনসারী ফেসবুকে লাইভে আসেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ছাড়াতে মো. জাহাঙ্গীর থানায় এসেছেন।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ সেলিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলাটি গত বছর ৫ আগস্টের পর হয়েছে। বর্তমানে সেলিম কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে, বহিষ্কার হওয়া জামায়াত কর্মী রুবেল আনসারীর অভিযোগ, তিনি যা বলেছেন সবই সত্য। আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর।