সরওয়ার কামাল, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়া খঞ্জনীর বাপেরঘোনার পাহাড়ী এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছে র্যাব-১৫। সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হতো- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানা হতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের নিকট অস্ত্র সরবরাহ হয় বলে র্যাবের আভিযানিক দল তথ্য পায়। এরই প্রেক্ষিতে ১৬ মার্চ শনিবার ভোর ৬টার দিকে র্যাব-১৫, মহেশখালী থানার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়াস্থ খঞ্জনির বাপের ঘোনা পাহাড়ি ঢাল এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরী সরঞ্জামাদি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে একটি অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পায়।
র্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা দুর্গম পাহাড়ের এদিক-ওদিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ধাওয়া করে অবৈধ অস্ত্র তৈরি, কেনা-বেচার সাথে জড়িত চক্রের তিনজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেন।
এসময় দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে উল্লেখযোগ্য লোহার তৈরি ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, করাত, চারটি লোহার পাইপ, দুটি লোহার ব্যারেল, হেক্সো ব্লেড, দুটি লোহা কাটার ব্লেড, ষাটটি ওয়াশার, দুটি পাঞ্চিং রড, দুটি বড় নাট, রেঞ্চ, স্টীল সীড, তিনটি লোহার অংশ ও লোহার ব্রাশসহ অস্ত্র তৈরির আনুষাঙ্গিক ছোট-বড় ৫০টি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- কালারমারছড়ার অফিস পাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে ফরিদুল আলম (৫৪), তার দুই ছেলে জিসাদ সোনা মিয়া (২২) এবং ওবাহিম (২০)। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অস্ত্র তৈরির কারখানার অন্যতম কারিগর বাদশা মিয়া বলে জানান।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, সন্ধ্যায় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরীরর সরাঞ্জামাদীসহ র্যাব ৩ জনকে মহেশখালী থানায় সোপর্দ করে। র্যাব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.