
নিজস্ব প্রতিবেদক : বইমেলা সাতকানিয়ার ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রথম। শিশু-কিশোরদের বই পড়ার আগ্রহ যেন বৃদ্ধি পায়। বইয়ের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদসহ সাধারণ মানুষ যেন উৎসাহিত হয়। মাত্র কয়েকটা স্টল তন্মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। আমিলাইষ নয় শুধু আশপাশে নলুয়া, চরতী, কাঞ্চনা ইউনিয়ন থেকে এসে ভীড় জমিয়েছে বইয়ের স্টলে। পরিসর সংক্ষিপ্ত হলো আয়োজনের পর বৃহত্তর মেলায় রুপ দিয়েছে। এই মেলার আয়োজন করেন সাতকানিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল আমিলাইষ ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সাতকানিয়ার ইতিহাসে ইউনিয়ন পর্যায়ে অনন্য। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী অমর একুশ উপলক্ষে “একুশে বইমেলা”।
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক বলেন, সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম বইমেলার আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করছিলাম শুধু এই ইউনিয়নের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবে। আশার মধ্যে হতাশা বিয়োগ দিয়ে আনন্দ উদ্দীপনার সাথে আমার ইউনিয়বাসী সাড়া দেওয়ায় এবং পার্শবর্তী ইউনিয়ন কাঞ্চনা, নলুয়া ও চরতীর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদ, সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করায় সকলের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ। সাধারণ মানুষ বই পড়তে আগ্রহী হয়েছে তাই আগামী থেকে কয়েকদিন ব্যাপী বৃহত্তর আয়োজন করব। আমি সর্বোচ্ছ চেষ্টা করব এই মেলার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে।
অমর একুশে বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন আমিলাইষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবু বক্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর ছাদেক, আমিলাইষ শক্তি সংঘের সভাপতি শ্যামল দত্ত, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য হোসনে আরা বেগম, শিক্ষক আবদুর রহিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য বিপ্লব চক্রবর্তী, লোকমান হাকিম, মো.রুবেল,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, ছাত্রলীগ কর্মী রুহি উদ্দিন, মো. সেলিম, মোঃ মহিউদ্দিন, রনি চৌধুরীসহ আমিলাইষ ইউনিয়নের সকল সদস্যবৃন্দরা।
অমর একুশে বইমেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদবৃন্দ, ভাষাবিদসহ বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখকদের বইয়ের সমাহার সাজানো হয়। পাশাপাশি শিশু-কিশোর সহ বিভিন্ন ধরনের বইয়ের স্টল সাজানো হয়। অমর একুশে বইমেলায় আমিলাইষ ইউনিয়নের আমিলাইষ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব গাটিয়া ডেঙা উচ্চ বিদ্যালয়, আমিলাইষ আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা, যায়েদ বিন সাবিত দাখিল মাদ্রাসাসহ ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পার্শবর্তী ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করেন।