উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল খুলশী থেকে ১৪০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) সহ দুইজনকে আটক করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা নতুন ফিসারী ঘাট এলাকায় মাদকের একটি বড় চালান আদান প্রদান করবে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই ২০২১ ইং তারিখ ১৭৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন ব্যক্তি ০১ টি মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামি ১। শহিদুল ইসলাম টিপু (২৮), পিতা- মোঃ মুছা, সাং- পূর্ব বাতুয়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম , ২। কাজী আমিনুর রশিদ (৪৮), পিতা-মৃত কাজী মাহমুদুল হক, সাং- বাতুয়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে- এয়াকুব নগর, ফিরিঙ্গী বাজার, থানা- কোতয়ালী, সিএমপি, চট্টগ্রাম এবং ৩। মোঃ সাইমন তারেক (৪৯), পিতা- মৃত হাজী নুর আলম, সাং- গুজরা, নোয়াপাড়া, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে- এয়াকুব নগর, নুর আলমের বিল্ডিং, ফিরিঙ্গী বাজার, থানা-কোতয়ালী, সিএমপি, চট্টগ্রাম মহানগরীদেরকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে তাদের হেফাজতে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ৯৭৫ গ্রাম মেথামফিটামিন উপাদানযুক্ত দানাদার মাদকদ্রব্য, যার বানিজ্যিক নাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করে এবং উক্ত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ একে অপরের সহযোগিতায় ও পরস্পর যোগ-সাজশে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা রুবেল (৩২), পিতা- আব্দুল গফুর, সাং- মধ্যম বাতুয়া, থানা- পটিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম এর নিকট হতে উক্ত মাদকদ্রব্য নিয়েছিল। রুবেল মাছ ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে উক্ত মাদকদ্রব্য এনেছিল। অতঃপর মাদক ব্যবসায়ী রুবেল সৌদি আরব চলে গিয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদক আইসের আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) এর সারণি ১০(গ)/৪১ ধারায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী থানায় মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।