নিজস্ব প্রতিবেদক: কুঁড়ে ভাঙ্গা একটি ঘর, ছোট্ট শিশুটি আঙ্গিনায় খেলছে। শিশুটির মা রান্নাঘরে কাজ করছে। পরিবারের দুটি মেয়ে বাড়ীতে মাকে সাহায্য করছে। পরিবারের প্রধান হিসেবে আমিন শরীফ কাজ কর্ম করার কথা কিন্তু সেই ব্যক্তিটি বিছানায় শুয়ে আছে। কোন কাজ করতে পারেনা, চলাফেরাতো দূরের কথা, কোন কথাই বলতে পারে না। কোন ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া নড়াচড়াও করতে পারো না। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয় বিছানাতেই। দীর্ঘ ৫০ বছর পর হার মানতে হলো রোগের কাছে। হ্যাঁ, সে অসহায় মানুষটি সাতকানিয়ার কালিয়াইশ গ্রামের বুধা গাজীপাড়ার আবদুল জব্বারের সন্তান আমিন শরীফ (৫৭)।
২১ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৪ ঘটিকায় আমিন শরীফের বাসায় গিয়ে দেখা করেন সাতকানিয়ার পশ্চিম কাটগড় গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক এরফানুর রহমান সুমন। অসহায় আমিন শরীফের পাশে বসে রোগ সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের ডিন অফিসে কর্মরত মোঃ এনামুল হক সিকদার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কামাল উদ্দিন, যমুনা ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ, সাতকানিয়া উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা তোহিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল হাসেম, ইসলাম মিয়া, আসহাব মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
এরফানুর রহমান সুমন বলেন, আমার এলাকা কালিয়াইশের অসহায় মানুষের পাশে অতীতে ছিলাম, বর্তমানে আছি, আগামীতেও থাকবো। একজন অসহায় মানুষ তখন অনেক খুশি হয় যখন কোন ব্যক্তি অসহায় মানুষকে দেখতে যায়। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অসহায়, দরিদ্র ও দুঃখী মানুষের খোঁজ খবর নিতেন এবং অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন। তাই সমাজের বিত্তবান লোকদের উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো। তেমনি একজন আমিন শরীফের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: imranctgnews@gmail.com
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.