রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফলে সোমবার সকাল থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে সব ধরণের ফেরি চলাচল।
এর আগে, শুক্রবার সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল চালু হওয়ার ৩দিনের মাথায় গতকাল রোববার দুপুর ৩টা থেকে বন্ধ ছিল ফেরি। এতে ঘাট এলাকায় বিকেল থেকে চরম দুর্ভোগে পরেছে, উভয় পাড়ে পারাপারের জন্য আটকে থাকা অপেক্ষমান ছোট, বড় প্রায় ৩ শতাধিক যানবাহনসহ যাত্রীরা।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে ৩য় দিনের মত পদ্মার ভাঙন অব্যাহত থাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ৩ নম্বর রোরো ফেরি ঘাট রক্ষায় কাজ করছে বিআউডাব্লিউটিএ। তবে এতে ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে ঘাটে ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ৮দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও রাতে বন্ধ এবং দিনে সীমিত আকারে চলছিল ফেরি। এর মধ্যেই লৌহজং টার্নিংয়ের মুখে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় এখন চলছে ড্রেজিং। তবে লঞ্চ ও স্পিডবোট সচল থাকায় স্বাভাবিক ভাবে পদ্মা পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির মহা-ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নাব্য সংকটে ছোট ফেরিও চলতে পারছে না। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই নৌরুটের সকল প্রকার ফেরি চলাচল।
এছাড়াও পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিমুলিয়ার নতুন ৩ নম্বর ঘাট। ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ। তাই ঘাট পারাপারে অপেক্ষমান যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাব্য সংকটে এবং প্রবল স্রোতে বিগত কয়েক মাস ধরে এই নৌপথে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তার আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর আবার ফেরি চলাচল শুরু হলেও যাতায়াত স্বাভাবিক হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.