বাংলা ভাষার অন্যতম কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাহাত খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে তার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইস্কাটনের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তাঁর স্ত্রী অপর্ণা খান জানান, রাতে বার্ডেমের হিমাগারে রাখা হবে। শনিবার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন হবে।
তবে সময় এখনো ঠিক হয়নি বলে জানানো হয়। দাফনের আগে প্রেসক্লাব, বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন রাহাত খান। সম্প্রতি খাট থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে পাঁজরের হাড় ভেঙে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি।
রাহাত খান ১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমাদৃত হলেও কর্মসূত্রে রাহাত খান আপাদমস্তক সাংবাদিক।
১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অনিশ্চিত লোকালয় প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার তার ঝুলিতে।