প্রভাবশালী এক ব্যক্তির রেফারেন্সে তথ্য গোপন করে ডা. সাবরিনা দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি দুবার ভোটার হয়েছেন বলে মনে করে ইসি। তবে ওই ঘটনায় ইসির কেউ জড়িত নয়।
বুধবার ২৬ আগস্ট এসব তথ্য উল্লেখ করে ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। যদিও ওই রিপোর্ট গ্রহণ করেননি সচিব। আবারও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম বলতে রাজি হননি। তবে জানা গেছে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি যে সময় সুপারিশ করেছিলেন তখন সরকারের বিধিবদ্ধ একটি সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে তিনি এখন পদে নেই।
বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারবো। তবে দুই জায়গায় ভোটার হওয়া অপরাধ।
জানা গেছে, ইসির তদন্তে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়। তখন নিজ ঠিকানায় ভোটার হন ডা. সাবরিনা। পরে ২০১৬ সালে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবারও ভোটার হন তিনি। তখন অনেক তথ্য গোপন করেন। জমা দেন অসত্য তথ্য। তবে প্রথমবারের তার আঙুলের ছাপ অস্পষ্ট থাকায় দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার সময় তা শনাক্ত করা যায়নি।