তাকে হারানোর একমাত্র রাস্তা ভোট জালিয়াতি। বিরোধীরা সেই চেষ্টাই করছে- রিপাবলিকানের নির্বাচনী কনভেনশনের প্রথম দিনেই এই ভাষাতেই ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমি যদি নির্বাচনে হেরে যাই তাহলে ধরে নিতে হবে যে ভোটে জালিয়াতি হয়েছে।
ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের যে প্রচার চালাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা, তা আসলে জালিয়াতির জন্য। করোনাকে ব্যবহার করে জালিয়াতির রাস্তা খুঁজছে বিরোধীরা। খবর ডয়চে ভেলের।
এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার পোস্টাল ব্যালটের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, পোস্টাল ব্যালট জালিয়াতির জন্য সবচেয়ে ভালো। যদিও মার্কিন নির্বাচন কমিশন ট্রাম্পের অভিযোগের সঙ্গে কখনোই একমত হয়নি। তারা বরাবরই বলে এসেছে, পোস্টাল ব্যালটের সাহায্যে যে জালিয়াতি করা সম্ভব, এমন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বস্তুত, মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় থেকে পোস্টাল ব্যালটের প্রচলন আছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেনা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই ব্যালটের মাধ্যমে বহুদিন ধরে ভোট দিয়ে আসছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পরিবারও এই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন।
ট্রাম্প অবশ্য কোনো যুক্তি শুনতেই রাজি নন। তার বক্তব্য, নিরপেক্ষ ভোট হলে তাকে হারানো সম্ভব নয়। সে কারণেই করোনাকে ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, যদি তিনি হেরে যান, তাহলে ধরে নিতে হবে জালিয়াতি হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালেও একই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছিল তারই। এ বছর অবশ্য প্রাকভোট সমীক্ষা বলছে, জো বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন।
সোমবার থেকে চার দিনের নির্বাচনী কনভেনশন শুরু হয়েছে রিপাবলিকানদের। সোমবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রাম্পকে নভেম্বর নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের বক্তৃতার মাধ্যমে কনভেনশন শেষ হবে।
রিপাবলিকানদের একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, কনভেনশনে ট্রাম্পের পরিবারের বক্তৃতার সংখ্যা এতটাই বেশি যে অন্যরা বলার সুযোগই পাচ্ছেন না। বস্তুত, ইমপিচমেন্টের সময় থেকেই রিপাবলিকানদের একাংশের মধ্যে ট্রাম্পবিরোধী চোরাস্রোত রয়েছে। কনভেনশনে তা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।
এ দিন ট্রাম্পের বক্তৃতার সময় সমর্থকরা ফোর মোর ইয়ার্স বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তাদের থামিয়ে বলেন 'চার নয়, ১২ বলুন। তা হলে বিরোধীরা আরও চিন্তায় পড়বেন'।
যদিও মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কোনো প্রেসিডেন্ট আট বছরের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। ট্রাম্প এর আগেও ১২ বছরের কথা বলেছেন। তা হলে কি পুনর্নির্বাচিত হলে ট্রাম্প সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা করবেন? এ প্রশ্নও উঠছে কোনো কোনো মহলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.