সারাদেশে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সরকারী তরপ থেকে ত্রাণ বিতরনের দায়িত্ব নিয়ে যারা ত্রাণ চুরির উৎসব করে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন, ঠিক তার উল্টো পথে নিজ উদ্যোগে মানবতার সেবায় অাত্মনিয়োগ দিলেন ফুলকলি গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর জি.এম জনাব এম.এ. সবুর ও তাঁর সহধর্মিণী হাটহাজারী উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান লায়ন সাজেদা বেগম। একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের বাসায় রান্না হয় দৈনিক অন্ততত ১শ থেকে দেড়শ অসহায় মানুষের খাবার। এই খাবার ওনার সহধর্মিণী নিজের হাতেই পাক করেন এবং তিনি নিজ দায়িত্বে পৌছে দেন রাস্তায় পরে থাকা গৃহহীন, হতদরিদ্র ও ভবঘুরে থাকা মানুষদের কাছে।
মাঝে মাঝে বিতরন করেন চট্টগ্রামস্থ বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ/ওসির সহায়তায়, যেহেতু সেবার দায়িত্বের কারণে পুলিশ সর্বত্র থাকেন এবং অসহায় মানুষের রিপোর্টও পুলিশের বেশি জানা থাকে। অত্যন্ত কম খরচে চাল, ডাল, অালু, বরবটি, পরিমান মত লবণ ও তেল দিয়ে তৈরি হয় এক সুস্বাদু খিচুরি। জন প্রতি ১৫/১৬ টাকার বিনিময়ে ৪০০গ্রাম খাবার তুলে দেওয়া হয় ক্ষুদার্তদের মূখে যা একজন মানুষের জন্য একবেলা এনাফ। অনাহারীরা অনাহারে থাকতে থাকতে হাত বাড়িয়ে খাবার টুকু নেওয়ার শক্তিসামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে। কোন রকমে হাত বাড়িয়ে খাবারটুকু নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বুঝিয়ে দেন তারা কতটা খুশি। অামাদের অনেকের অার্থিক সামর্থ্য থাকলেও মানু্ষিক সামর্থ্যের অভাবে অামাদের পাশের ঘরে বসবাস করা অনাহারী ও ক্ষুদার্তদের খবর অামাদের অজানাই থেকে যায়। এই সাদা মনের মানুষ জনাব এম.এ. সবুর ও ওনার সহধর্মিণীর মত অামরা সবাই যার যার জায়গা থেকে যদি একটু ভাবতাম, তাহলে ক্ষুদার বিরোদ্ধে বেঁচে থাকার যুদ্ধে অামরা সবাই জয়ি হতাম। বাস্তবায়িত হত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। প্রতিষ্ঠিত হত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। অামি চাই লেখাটি লক্ষ লক্ষ শেয়ার হয়ে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌছে যাক, যারা লেখাটি পড়বে তাঁরাও অনুপ্রাণিত হোক, তাঁদের থেকে অারো লক্ষ কোটি এম.এ. সবুর ও লায়ন সাজেদা বেগমের সৃষ্টি হোক। মহান অাল্লাহতায়ালা সবাইকে কবুল করুক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.