
দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, বাঙালির ইতিহাসে ৬০ এর দশক এক অসাধারণ অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই দুঃসময়ে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর উত্থান ও অবদান স্মরণীয়। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সে সময় তিনি সংগঠন গোছানো ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে ৬৪ সনে সিটি কলেজে পড়াকালীন সময়ে তার সাথে আমার পরিচয়। যুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের ক্যাম্পে কর্পদ হীন হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অর্পিত দায়িত্ব পালনে তার অসহনীয় কষ্টে দিনযাপনের সময় আর্থিক সহায়তা প্রদান, স্বাধীন হবার পর সেই অর্থ ফেরত দানের চেষ্টা, মন্ত্রী হবার পর মুসলিম হলের এক অনুষ্ঠানে এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ প্রভৃতি স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান, মহৎ ও রাজনৈতিক বৃক্ষ ছিলেন। অন্যকে আপন করে নিতে পারতেন, দাম্ভিকতা ছিলনা তার মাঝে। নানা বিষয়ে পান্ডিত্য ছিলেন, বঙ্গবন্ধু তার সততার গুনেই তাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বানিয়েছেন।
৭ অক্টোবর বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ হলে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সুবিধাবাদী, কালো টাকা আর পেশী শক্তির বিপরীতে সত্যিকারের সঠিক স্বচ্ছ ধারার রাজনীতিকে ঠিকিয়ে রাখতে হলে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীদের স্মরণ করতে হয়। তারাই আমাদের উপমা, প্রেরণা। আমাদের রাজনৈতিক চলার পথে তারা চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে। এ জাতীয় নেতাদের অবদানে বঙ্গবন্ধু সফল হয়েছেন, স্বাধীনতা ত্বরান্মিত হয়েছে, তারা মরেও অমর।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ওয়াসিকা আয়েশা খান এম.পি, সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কালাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব আবু জাফর, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, মরহুমের সন্তান ডা: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, নাসরিন ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য চেয়ারম্যান নাছির আহমদ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, খালেদা আক্তার চৌধুরী, এড: পাপড়ী সুলতানা, এড: নিলুফার জাহান, সঞ্চিতা বড়ুয়া, জীবন আরা চৌধুরী, নিলুফার জাহান বেবী, অধ্যক্ষ ফাহমিদা বিনতে আজিজ, রওশন আক্তার জেলেন, বিবি জয়নাব, কাউন্সিলর রেহেনা আক্তার বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা ডা: দিলীপ দে, চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ, সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন পাপ্পু, এম এন এ নাছির, নাছির উদ্দিন, বোয়ালখালী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হাজী আবদুল মান্নান রানা, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি তারেকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু বকর জীবন, ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর রেজা ও মো: মহিউদ্দিন প্রমুখ।