মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতু প্রকল্পের চুরি যাওয়া বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশসহ তিন জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১১ এর সদস্যরা। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে লোহার রড, পদ্মা সেতুর স্প্যান বার, প্লেট, পাইপ, অ্যাঙ্গেল, ইউ চ্যানেল, সেপ ও লোহার অন্যান্য ক্ষুদ্রাংশ যেগুলোর ওজন আনুমানিক ৩০ মণ। সেতু কর্তৃপক্ষের ছয় জন কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত বলেও র্যাব জানিয়েছে।
চোর চক্রের তিন সদস্য হলো- পদ্মা সেতুর পাইলিং কাজে সংশ্লিষ্ট এডওয়ার্ড সাহা (৪২),ভাঙ্গারির দোকানের কর্মচারী শেখ হারুন (৩৮) ও ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শুভ (২৮)।
মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে লৌহজং থানাধীন মাওয়া ঘাট ও কুমারভোগ এলাকার বিভিন্ন স্থান এবং ভাঙ্গারির দোকানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। মনিব আয়রন স্টোর ও আরিফের ভাঙ্গারির দোকান থেকে এসব চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে র্যাব-১১।
১৮ মার্চ বুধবার দুপুরে শ্রীনগর ভাগ্যকূল ক্যাম্পের র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কমান্ডার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ‘চোর চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশে চুরি করছিল। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের ছয় জন কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যবহৃত লোহার রোড, সেতুর স্প্যান বার, প্লেট, পাইপ, ইউ চ্যানেল, অ্যাঙ্গেল, সেপ ও লোহার অন্যান্য ক্ষুদ্রাংশ চুরি করে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজসে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে আসছিল। এরা মালামালগুলো ছোট ছোট টুকরো করে গুদামে সংরক্ষণ করে এবং রাতের আঁধারে ট্রাকে ভর্তি করে মালামাল পাচার করে থাকে।’
তিনি জানান, এই ঘটনায় আটক তিন জনের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় পেনাল কোড আইনে চুরির মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.