বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশনে ৪৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বিভাগে নাম ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিটিং স্থগিত করে ক্যাম্পাসে আসেন। ওই দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন স্থগিতের অনুরোধ জানান এবং আগামী ২ মার্চ জরুরি সভা করে এ ব্যাপারে আলোচনার আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তনের লিখিত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে উপাচার্যকে জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে অনশনস্থলে অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া অবস্থায় দেখা গেছে।
বিভাগটির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এসএম সোহাগ হোসাইন জানান, তাদের পপুলেশন সায়েন্স সম্পর্কিত ৩৪ ক্রেডিট এবং হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত ১৬ ক্রেডিট পড়ানো হয়। এরইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান সিলেবাসের ১০১ ক্রেডিট পড়ানো হয়; যা পিএসসির পরিসংখ্যান কিংবা ফলিত পরিসংখ্যানের সঙ্গে ৯৫ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বিভাগের নাম পরিবর্তন চান তারা।
এদিকে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের দেখতে যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। তিনি অনশন ভাঙার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ বিষয়ে আগামী সোমবার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। তোমাদের উচিত উপাচার্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে রুমে ফিরে যাওয়া।’ কিন্তু, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে তাকে জানান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে এখন বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।