নীলফামারীর ডিমলায় সিঁদ কেটে ঘরে ঘুরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। লাশের পাশে রেখে যাওয়া একটি চিরকুটে লেখা রয়েছে, মহছেনা বেগমের (৩৫) সঙ্গে অন্যদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের ধারণা, মহছেনার স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মোফা (৩৮) এই চিরকুট লিখে খুন করে পালিয়েছে। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মোফাজ্জল হোসেন মোফা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাট গ্রামের মৃত শহর উল্লাহর ছেলে। বুধবার (২৬ ফেব্রয়ারি) ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া (হোসেনের মোড়) গ্রাম থেকে মহছেনার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের মৃত বানার উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৮ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে মহছেনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে প্রায় সময়ই মোফাজ্জল জয়পুরহাট ও ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতো।
মহছেনার বড় ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, ‘এক সপ্তাহ আগে মোফাজ্জল ডিমলায় আমাদের বাড়িতে আসে। তবে ঘরে রাত না কাটিয়ে সে বাজারে অবস্থান করতো। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ধারালো ছোরা দিয়ে ঘুমন্ত মহছেনাকে খুন করে সে পালিয়ে যায়।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি হ্যান্ড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে মহছেনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জন্য তিন জনকে দায়ী করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজন গা ঢাকা দিয়েছে।
ডিমলা থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গতকাল বিকালে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাগজে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তবে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। নিহতের বড়ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। খুনিকে গ্রেফতার করলেই সব জানা যাবে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.