বগুড়ার নন্দীগ্রামে মদ্যপ অবস্থায় ডিএসবি পুলিশের কনস্টেবল আবদুল মতিনকে মারধর করার অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন সুমন ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য প্রশান্ত কুমার। এই ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্তসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্র ও পুলিশ জানায়, ডিস্ট্রিক স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ডিএসবি) কনস্টেবল আবদুল মতিন রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার সঙ্গীরা মদ্যপ অবস্থায় সেখানে আসেন। তারা কনস্টেবল মতিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। কনস্টেবল মতিন নন্দীগ্রাম থানায় দুলাল চন্দ্র মহন্ত, আকতার হোসেন সুমন, প্রশান্ত কুমারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরপরই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আকতার হোসেন সুমন ও প্রশান্ত কুমারকে গ্রেফতার করে। দুলাল আত্মগোপন করায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ‘দুলাল চন্দ্র মহন্ত এর আগে গাঁজাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলালকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার বা তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। তিনি এখনও উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দুলালের ফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান জানান, কনস্টেবলকে মারপিট মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল ও অপর তিনজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দুলালের বিরুদ্ধে আরও একটি মাদকের মামলা রয়েছে।