বরিশাল নগরীর বগুরা রোডের রংধনু কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদ হোসেন খান (৪০) ও হামলাকারী শাহে আলম নগরীর শীতলাখোলা এলাকার জেসমীন ভিলার মালিক মৃত মজিদ খানের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ শাহে আলমকে আটক করেছে।
নিহতের স্ত্রী রোজী আক্তার জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ভাড়াটিয়াদের টাকা উত্তোলন নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া ও বাকবিতণ্ডা চলে আসছিল।শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভাড়াটিয়া মো.কাজাদের ভাড়ার টাকা উত্তোলন নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় বড় ভাই শাহে আলমের পক্ষ নেয় ভাড়াটিয়া কাজাদ। এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি শুরু হলে শাহে আলম ও কাজাদ ইট দিয়ে তার স্বামী ফরিদের মাথায় ও বুকে একাধিক আঘাত করে। এতে করে লুটিয়ে পড়েন ফরিদ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ঘাতক শাহে আলমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। ওসি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।