চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘পিঠা পার্বণ ও হিম আড্ডা’ উদযাপিত হয়েছে। ‘শীতের কুয়াশায় জমবে মেলা, পিঠা উৎসব সারাবেলা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এই আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আইইআরের সক্রেটিস চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন চবির সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রাজীব আহমেদ ফয়সাল, হাসান তৌফিক ইমাম, তাসনিম মুশাররাত, সুস্মিতা দত্ত, জেরিন আক্তার ও আমানুল্লাহ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ বলেন, ‘কালের বিবর্তনে পিঠার এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনও পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত’
দেশীয় পিঠার প্রদর্শনী ও শীতকালীন আড্ডার উদ্দেশে আয়োজিত এই পিঠা উৎসবে মোট স্টল ছিলো ১০টি। পিঠা যাবে পেটুক বাড়ি, মিডা চুনচুইন্না, উদরে পিঠা পূর্তিসহ নানা আকর্ষণীয় নাম ছিল স্টলগুলোর। এসময় শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরি প্রায় ৮০ রকমের পিঠা-পুলির মধ্যে ছিল ফুলঝুড়ি, পাকন পিঠা, লেয়ার পুডিং, ক্যারামেল পুডিং, বেণি পিঠা, নারকেল পুলি, ডিম কুকিজ, পাটিসাপটা, তালের পিঠা, ঝাল পিঠা, কলার পিঠা ইত্যাদি।
এতে অংশ নেওয়া চবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার জানান, শীতের সময় পরীক্ষা থাকায় বাড়ি যাওয়া হয় না। শীতের পিঠাও খাওয়া হয় না। এ সময়ে আইইআরের শিক্ষার্থীরা শীতের রকমারি পিঠা নিয়ে যে উৎসবের আয়োজন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
পিঠার স্বাদে উচ্ছ্বসিত এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি স্টল থেকেই পিঠার স্বাদ নিয়েছি। বাড়ির মতো করে তৈরি এসব পিঠার স্বাদ নিয়ে মায়ের হাতে তৈরি পিঠার কথা মনে পড়ে গেল।’
পিঠা উৎসবে সবচেয়ে বড় স্টল ছিলো ‘হিম হাওয়া।’ ২৮ রকমের পিঠা ছিল দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী উম্মে সাদিয়া মিতুর তৈরি এ স্টলে। অন্যদিকে স্টলের সামনে ‘এই স্টলের অর্জিত অর্থ সামাজিক কাজে ব্যয় করা হবে’ লেখা নিয়ে নজর কাড়ে তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মিথিলা হকের তৈরি ‘নেমন্তন্ন’ স্টল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.