শহীদুল ইসলাম(শহীদ), বান্দরবানঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের চাম্বি মফিজ বাজার থেকে সিপ্লাস টিভি চকরিয়া-লামা প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আরমানের মোটর সা্ইকেলটি কে বা কারা তার অফিসের নিচ থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
সিসি ক্যামরার ফুটেজ অনুযায়ী ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৪ টা ১০ মিনিটে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে।
মোটর সা্ইকেলটি চুরি হওয়ার সাথে সাথে থানায় ফোন করেও জানানো হয় এবং থানায় জিডিও করা হয়।
জিডি করার পর দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলো কিন্তু থানা থেকে কোন তদন্তও করলো না এবং ওসি (তদন্ত) আমিনুল হক ও সেকেন্ড অফিসার খালেদ মোশারফকে চুরির ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানানোর পরও তারা কেউ কোন উদ্ধারাভিযান করার জন্য কোন অফিসারও পাঠালোনা।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক ইলিয়াছ আরমান বলেন, "চুরির ব্যাপারে যদি সাথে সাথে পদক্ষেপ নিতে না পারলে হাত বদল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা মাথায় রেখে দ্রুত থানায় দন্ডবিধি ৩৭৮/৩৭৯/৩৪ ধারায় মামলা করতে গেলে ওসি (তদন্ত) আমিনুল হক মামলা না নিয়ে আমাকে জিডি করতে পরামর্শ দেন। আমি তখন সরল বিশ্বাসে তার কথায় জিডি করি এবং চুরির ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্যও দিয়েছি তাদের কাছে। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। আমি একজন সাংবাদিক হয়ে যদি এভাবে ভুগতে হয়, সাধারন পাবলিক কোথায় যাবে? এতো তথ্য থাকার পরও থানার পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা না পাওয়া খুবই দুঃখজনক ব্যাপার"
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় মোটর সা্ইকেলটি অফিসের নিচে রেখে রাতে বাসায় চলে যায় ইলিয়াছ আরমান। কিন্তু সকালে এসে আর মোটর সা্ইকেলটি পাওয়া যায়নি। পরে সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে দেখা যায় ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার ভোর ৪ টা ১০ মিনিটে অচেনা এক ব্যক্তি মোটর সা্ইকেলটা বের করে নিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিক ইলিয়াছের দাবী, "সিসিটিভির ফুটেজের ঐ ব্যক্তিটা অপরিচিত হলেও এলাকার জানাশুনা কোন ব্যক্তির যোগসাজসেই এই ঘটনা ঘটেছে।"
বাজারের প্রহরী জাফর আলম থেকে খবর নিয়ে দেখা যায়, "ঐ দিন রাতে এলাকার কিছু বখাটে ছেলের সাথে বাহিরের কিছু ছেলের সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। তাদেরকে আমি বাড়িতে চলে যাওয়া জন্য অনুরোধও করেছি কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে রাত ৩টা পর্যন্ত বাজারে আড্ডা দেয়"
আজিজনগর ইউপি মেম্বার জসিম উদ্দিন জানান, "আমিও রাত সাড়ে বারোটার সময় কয়েকটা বাহিরের ছেলে সাদা রং এর মোটর সা্ইকেল নিয়ে এসে এলাকার কয়েকজন পরিচিত ছেলের সাথে ঘুরাফেরা করতে দেখি।"
এ ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ, অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন "আমি অফিসিয়াল কাজে বান্দরবানে ছিলাম। ইতোমধ্যে একজন অফিসারকে দ্বায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। দেখছি বিষয়টি কি করা যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.