দেশচিন্তা ডেস্ক: প্রথমে একাদশ এবং পরবর্তীতে আর্নে স্লট লিভারপুলের স্কোয়াড থেকেই বাদ দিয়ে দেন মোহামেদ সালাহ। মাঝে কোচের সরাসরি সমালোচনাও করেছেন এই মিশরীয় তারকা। এরই মাঝে খেলায় ফিরে এক অ্যাসিস্টে ইতিহাস গড়লেন সালাহ। তবে হুগো একিতিকের জোড়া গোলে ব্রাইটনের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে লিভারপুল জিতেছে। একইদিন পৃথক ম্যাচে জয় পেয়েছে আর্সেনাল ও চেলসি।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) লিভারপুল ও ব্রাইটনের ম্যাচে লড়াইটা ছিল সমানে সমান। একিতিকের দুটি গোলই ম্যাচের ফল গড়ে দিয়েছে। ৪৯ শতাংশ পজেশনের পাশাপাশি ১৮টি শট নেয় লিভারপুল। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৫টি। বিপরীতে ব্রাইটন ১৪ শটের মধ্যে স্রেফ একটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সব লিগেই অধারাবাহিক লিভারপুলের জন্য এই জয় অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। যদিও ১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের ছয়ে।
এদিনও অবশ্য সালাহ শুরুর একাদশে ছিলেন না। ২৬ মিনিটে ডেভিড গোমেজ চোটে পড়লে স্লট মাঠে নামান মিশরীয় ফরোয়ার্ডকে। একিতিকের জোড়া গোলের একটিতে বল যোগান দেন সালাহ। যা ৩৩ বছর বয়সী এই তারকাকে একটি রেকর্ডবুকে তুলে দিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে নির্দিষ্ট দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭৬ গোলে অবদানের (গোল+অ্যাসিস্ট) রেকর্ড ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ তারকা ওয়েইন রুনির। তাকে ছাড়িয়ে লিভারপুলের জার্সিতে ২৭৭তম গোলে অবদান (গোল ও অ্যাসিস্ট) রাখলেন সালাহ।
একই রাতে চেলসি ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলে এভারটনকে হারিয়েছে। যেখানে চোট থেকে ফেরার পর তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ইংলিশ তারকা কোল পালমার এক গোল করেছেন। আরেকটি গোল আসে চেলসির ফরাসি ডিফেন্ডার মালো গুস্তোর কাছ থেকে। ম্যাচজুড়ে এভারটনের চেয়ে সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল চেলসি। ৫৮ শতাংশ বলের পজেশন রেখে ১৬ শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল এনজো মারেসকার দলের। বিপরীতে এভারটন ৮টির মধ্যে কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে।
চেলসি সবমিলিয়ে চার ম্যাচে জয়শূন্য থাকার পর জয়ের দেখা পেল। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পশ্চিম লন্ডনের দলটি ঢুকল শীর্ষ চারে। ২ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে অ্যাস্টন ভিলা আছে তিনে। আগে থেকেই শীর্ষে থাকা আর্সেনাল ব্যবধান আরও বাড়িয়ে পয়েন্ট নিয়ে গেছে ৩৬–এ। ম্যানচেস্টার সিটি ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। এক ম্যাচ করে কম খেলেছে শীর্ষ চারে থাকা সিটি-ভিলা দু’দলই।
এদিকে, উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে আর্সেনাল জয় পেয়েছে দুটি আত্মঘাতী গোলের সুবাদে। শুরুটা ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। এরপর মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা আধিপত্য নিতে শুরু করলেও আক্রমণে ছিল ধারহীন। প্রথমার্ধে ম্যাচ গোলশূন্য সমতায় ছিল। ডেডলক ভাঙে ৭০ মিনিটে। উলভসের গোলরক্ষক স্যাম জনস্টোনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ৯০ মিনিটে তোলু আরাকোদারের গোলে ম্যাচে ফেরে উলভস। কিন্তু চার মিনিট বাদেই ফের আত্মঘাতী গোলে তারা ম্যাচটি হেরে বসেছে।
গানারদের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন উলভসের ডিফেন্ডার ওয়াই মুসকুয়েরা। অথচ পুরো ম্যাচে ৭০ শতাংশ পজেশন নিয়ে ১৭ শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল আর্সেনালের। কিন্তু নিজেরা একটি গোলও করতে পারেনি। ২-১ ব্যবধানের জয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান (১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট) আরও সুদৃঢ় করল মিকেল আর্তেতার দল। দুইয়ে থাকা সিটির চেয়ে এগিয়ে গেল ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.