দেশচিন্তা ডেস্ক: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ‘ইপসা-শিখা’ প্রকল্পের আওতায় ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কমপ্লেইন্ট কমিটির সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) প্রতিরোধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৩টায়। ব্র্যাক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহন, কমিউনিটি ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও বুলিং প্রতিরোধে টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
সম্প্রতি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি এবং ইপসা একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় ইপসা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসংক্রান্ত নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করবে—যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক উদ্যোগ। এমওইউ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে একটি ইনসেপশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ইপসা জানায় তারা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপ্লেইন্ট কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবে। প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য তিনটি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুইটি সচেতনতা সেশন আয়োজন করা হবে, প্রতিটি সেশনে ২০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন।
ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ০৯ ডিসেম্বর জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রথম সচেতনতা সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। সেশনে অংশগ্রহণকারী ২০ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার নাসরিন আক্তার ও ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মোহাম্মদ আলী। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কমপ্লেইন্ট কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক গাজী শাহাদাত হোসেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেশনে ‘ইপসা-শিখা’ প্রকল্পের ম্যানেজার তুষার কুমার রায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রকল্পের সার্বিক বিবরণ উপস্থাপন করেন। সেশনটি পরিচালনা করেন ব্র্যাক সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের ট্রেনিং স্পেশালিস্ট এম ডি. নুরুল হক। তিনি ব্যাখ্যা করেন কীভাবে প্রকল্পটি লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে এবং সহিংসতা প্রতিরোধে গুণগত পরিবর্তন আনতে কাজ করছে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি, সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী কাউন্সেলিং ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের সচেতনতা সেশন অংশগ্রহণকারীদের আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গি, সমস্যার প্রতিক্রিয়া এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়। তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে শিক্ষার্থীরাও তার সুফল পাবে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.