দেশচিন্তা ডেস্ক: রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে একটি পরিযায়ী হিমালয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের এক কৃষকের ঘরের চাল থেকে শকুনটিকে উদ্ধার করা হয়।
লিজেন আহমেদ প্রান্ত নামে একজন অসুস্থ প্রাণী উদ্ধারকারী সময় সংবাদকে বলেন, ‘শীতকালে হিমালয় পর্বতমালায় প্রচণ্ড ঠান্ডা আর খাদ্য সংকটের কারণে বাংলাদেশ আসে এই হিমালয়ান গৃধিনী শকুন। দীর্ঘ পথ ভ্রমণে অনেক শকুন অসুস্থ হয়ে উড়ার শক্তি হারিয়ে ফেললে ক্লান্ত হয়ে পড়ে যায়। রোববার দুপুরে প্রায় ১০ কেজি ওজনের বিশালদেহী এই শকুনটি ক্লান্ত হয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় এক কৃষকের ঘরে চালে পরে যায়। সেখান থেকে খবর পেয়ে রাতে শকুনটিকে উদ্ধার করি। এখন প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।’
তিনি জানান, প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে ১৫-২০টি হিমালিয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার হয়। পরে সেগুলোর চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়।
উদ্ধারকারী লিজেন আহমেদ প্রান্ত বলেন, ‘হিমালয় থেকে উড়ে আসা শকুনগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলে বাংলাদেশের প্রথম শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র দিনাজপুরের বিরলের সিংড়া ফরেস্টর রেসকিউ সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। পুরো শীতকাল সেখানে চিকিৎসা ও পরিচর্যা চলে। পরে শকুনগুলোর পায়ে একটি বিশেষ স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।’
কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আব্দুর রউফ জানান, শকুন মৃত প্রাণীর দেহ খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস এবং বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শকুনের সংখ্যা বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। তাই পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি শকুনসহ অন্যান্য বিপন্ন প্রজাতি রক্ষায় সবার সহযোগিতা ও সচেতনতা দরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.