দেশচিন্তা ডেস্ক: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
১১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তারা।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এডিবি সদর দপ্তরের সিনিয়র ডিরেক্টর তারিক এইচ. নিয়াজি এবং এডিবি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং।
এসময় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের কৃষিজমি সংরক্ষণের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, দেশে প্রতিবছর প্রায় এক শতাংশ হারে আবাদযোগ্য জমি হ্রাস পাচ্ছে, যা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। তিনি এডিবিকে কৃষিজমির মানচিত্র প্রণয়নে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা জোরদারে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান, যাতে টেকসই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু অভিযোজনের কার্যকর উপায় হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ কার্যক্রম বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে ওঠা ছোট ছোট পানি উদ্যোগগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণে এডিবির সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এডিবির সিনিয়র ডিরেক্টর তারিক এইচ. নিয়াজি বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করে জানান, জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিতে এডিবি প্রস্তুত।
এডিবি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং জানান, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণে এডিবির চলমান উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অফিসের একটি মিশন ঢাকা সফর করে সম্ভাব্য সহযোগিতার দিক নিয়ে আলোচনা করবে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য নদী পুনরুদ্ধার, পানি ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু অভিযোজন সম্পর্কিত পাইলট প্রকল্পসমূহ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— এডিবির প্রিন্সিপাল ইকোনমিস্ট সমীর খাতিওয়াদা, প্রিন্সিপাল পাবলিক সেক্টর স্পেশালিস্ট সন্দীপ ভট্টাচার্য এবং সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.