দেশচিন্তা ডেস্ক: আমরা পরিবারের সদস্য, বন্ধু, স্বামী-স্ত্রী বা ধন-সম্পদের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি। কিন্তু এই ভালোবাসার চূড়ান্ত লক্ষ্য কি হতে পারে? হৃদয়ের শান্তি, জীবনের তৃপ্তি। এই শান্তি ও তৃপ্তির বাইরে আধ্যাত্মিক শান্তির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভালোবাসা হলো আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভালোবাসবে, তার হৃদয় শান্তি পাবে। আমাদের জীবনের প্রতিটি ভালো, মন্দ ও পরীক্ষাই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। আমাদের উচিত তা বুঝে কৃতজ্ঞ থাকা ও ধৈর্য ধারণ করা। কোরআনে বলা হয়েছে, যদি আমরা আল্লাহর অনুগ্রহগুলো গুনে দেখার চেষ্টা করি, সেগুলো গণনা করা সম্ভব নয়।
আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা মানুষকে জীবনের সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে। যখন আমরা আল্লাহকে হৃদয়ের ধারণ করবো তখন আমাদের সমস্ত অনুভূতি, কাজ ও প্রতিক্রিয়া সেই ভালোবাসা অনুযায়ী গঠিত হয়। পৃথিবীর সমস্ত আনন্দ, সুখ ও তৃপ্তি আল্লাহর প্রতিশ্রুত জান্নাতের আনন্দের সামান্য অংশ। প্রকৃত আনন্দ আসে আল্লাহকে জানার মাধ্যমে এবং হৃদয়ে তার উপস্থিতি অনুভূতি করার মাধ্যমে।
আল্লাহর প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা বিপদ আপদ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত পরীক্ষার সময় প্রকাশ পায়। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক বা ব্যবসায়িক সম্পর্কের ভালোবাসা যেমন ভিন্ন মাত্রার হয়, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাও তা থেকে ভিন্ন হয়। কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহর এবং তার রাসুলের ওপর ভালোবাসা সব কিছুর উপরে থাকা উচিত।
হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা অর্জনের জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে—
প্রথমত, কোরআনকে গভীর মনোযোগ দিয়ে পাঠ করা।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত নফল ইবাদত করা, যা আমাদের আল্লাহর নিকটবর্তী করে।
তৃতীয়ত, আল্লাহকে স্মরণে রাখা, যেন সকাল ও রাত সব সময় সময় তার উপস্থিতি মনের ভেতরে থাকে।
চতুর্থত, আল্লাহ যা পছন্দ করেন, তা নিজের পছন্দের উপরে অগ্রাধিকার দেওয়া।
হৃদয় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠলে, জীবন ও সম্পর্কের সব দিকেই সে প্রভাব বিস্তার করে। এর মাধ্যমে শুধু আধ্যাত্মিক শান্তি লাভ হয় না, বরং আমাদের আচরণ, চিন্তা ও মনোভাবকে দিশা দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.