দেশচিন্তা ডেস্ক: ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কালমেগির আঘাতে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র দেশজুড়ে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছেন। এবর মোড় পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার রাতে ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় কালমমেগি।
দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চল সেবু দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সেখানে অনেক ভবনের ছাদ উড়ে গেছে, আর মানুষ কাদামাটি সরিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছেন। অঞ্চলটিতে ৭১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১২৭ জন নিখোঁজ এবং ৮২ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
সেবু প্রাদেশিক প্রশাসন জানিয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ দপ্তরের হিসাবের বাইরে আরও ২৮ জনের মৃত্যুর খবর তাদের কাছে রয়েছে। খবর এএফপির।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, প্রায় ১০ থেকে ১২টি অঞ্চল এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এত বিস্তৃত প্রভাবের কারণে এটিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবেই ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত শুধু কালমেগির ক্ষতির জন্য নয়, বরং সপ্তাহান্তে আসন্ন আরেকটি ঝড় ‘উয়ান’-এর আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবেও নেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনে কোনো এলাকা বা পুরো দেশে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণার মানে হলো, বড় ধরনের প্রাণহানি, সম্পদের ক্ষতি ও জীবনযাত্রার বিপর্যয়।
এতে সরকার জরুরি তহবিল ব্যবহারের ক্ষমতা পায় এবং ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দ্রুত বিতরণে প্রশাসনিক বাধা কমে যায়।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) কালমেগির শক্তি বাড়িয়ে পাশ্ববর্তী ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে। এতে সেখানে এক সপ্তাহ ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে টাইফুন ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়বে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.