দেশচিন্তা ডেস্ক: বান্দরবানের থানচির বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বলিবাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে বলিপাড়া বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিমে অনিল দাশের খাবারের দোকানে আগুন দেখা যায়। বলিবাজার থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়।
এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে অন্তত ১১টি দোকান পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকান মালিকদের।
২০২৩ সালের মে মাসে বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০টি দোকান ও কয়েকটি বসতঘর পুড়ে গিয়েছিল। দেড় বছরের ব্যবধানে আবারও আগুন লাগায় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, বাজার এলাকায় স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অভাব ও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটই এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণ হতে পারে। দুর্গম থানচি অঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্থায়ী ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মংলুং মারমা বলেন, চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি বাজারের দিকে আগুনের লেলিহান শিখা। মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটে গিয়ে দেখি দোকানগুলো জ্বলছে। স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি বলিবাজার থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে থাকায় খবর দেওয়ার পরও তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লেগেছিল।
ব্যবসায়ী হ্লায়ইংচিং মারমা বলেন, ২০২৩ সালে একবার আগুনে ৫০টি দোকান পুড়েছিল। আজ আবারো পুড়লো। জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেললাম।
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে চলে এসেছি। স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিচ্ছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানচি ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, রাত সোয়া ২টায় খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রওনা দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.