দেশচিন্তা ডেস্ক: জাপানের রাজনীতিতে একটি নতুন ইতিহাস রচনা হয়েছে। দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সানায়ে তাকাইচি। এই পদে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি জাপানের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন শক্তি ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছেন। তাকাইচি সামাজিকভাবে রক্ষণশীল এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জাপান ইনোভেশন পার্টির (জেআইপি) মধ্যে জোট গঠন করে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে তাকাইচি পান ১২৫ ভোট, যা প্রয়োজনের থেকে এক ভোট বেশি। নিম্নকক্ষে ৪৬৫ আসনের মধ্যে তিনি পান ২৩৭ ভোট, যেখানে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩৩টি। মাত্র ৪ ভোটের ব্যবধানে তিনি জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অভিষেক হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনবো অ্যাবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে। পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ৪ অক্টোবর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নির্বাচনে জয়লাভ করে। দলটি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শাসন করছে, তবে ক্রমশ অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছয় দিন পর কোমেইটো পার্টি, যা তাকাইচির রক্ষণশীল মতাদর্শ এবং এলডিপির তহবিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল, তাদের জোট ত্যাগ করে। ফলস্বরূপ, তাকাইচি জাপান ইনোভেশন পার্টির সঙ্গে একটি নতুন জোট গঠন করতে বাধ্য হন, যা সোমবার রাতে স্বাক্ষরিত হয়। জোট গঠনের সময় তিনি জাপানের অর্থনীতি শক্তিশালী করার এবং দেশটিকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপান সফর এবং সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্বদান তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.