দেশচিন্তা ডেস্ক: গাজার দক্ষিণে ভয়াবহ বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে। ফলে সেখানে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল থেকে গাজার খান ইউনিস, নুসাইরাত, রাফাহ ও আল-জাওয়াইদা এলাকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এসব হামলায় বহু মানুষ নিহত হন। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। আহতদের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গাজার আল-আওদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আল-জাওয়াইদা শহরে চালানো এক হামলায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের এক কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
একইদিন, মধ্য গাজার একটি আবাসিক এলাকায় চালানো আরেক হামলায় ধ্বংস হয় একটি মিডিয়া প্রোডাকশন কোম্পানির ভ্যান ও সম্প্রচার সরঞ্জাম। নিহত হন কোম্পানির একজন সম্প্রচার প্রকৌশলী ও তার শিশু সন্তান। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকাটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক এবং সেখানে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও কাজ করছিলেন। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
তেল আবিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলার জবাবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, হামাসকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। তবে হামাস পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায় তাদের নয়, বরং ইসরায়েলই প্রথম হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজনৈতিক পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি আবার কার্যকর করা হয়েছে। তবে গাজায় প্রবেশ করা সব ত্রাণবাহী ট্রাকের চলাচল আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার পূর্বনির্ধারিত ইসরায়েল সফর একদিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে চলুক। হামাস কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করেছিল, তবে আমরা বিষয়টি মোকাবিলা করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.