
দেশচিন্তা ডেস্ক: আজকের দিনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। প্রায় তিন যুগের নিস্তব্ধতা ভেঙে আজ নতুনভাবে জেগে উঠেছে এ সবুজ ক্যাম্পাস। এ যেন এক নতুন ভোরের আগমন। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা চাকসু নির্বাচন। এই প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার। কিন্তু গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। যে ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে ন্যায্য দাবি আদায়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল—সেই সংসদটি ছিল নীরব, নিথর। কত সেমিস্টার পার হলো, কত ছাত্র-ছাত্রী এসে আবার ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেল, কিন্তু চাকসু তাদের কাছে ছিল এক না-পাওয়া স্বপ্ন।
নির্বাচন উপলক্ষে গত কয়েকদিন চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর ছিল চবি ক্যাম্পাস। প্রতিটি শিক্ষার্থীর চোখেমুখে ছিল আবেগ-উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনা। এ যেন নতুন করে জন্ম নেওয়া এক অধিকারবোধের উন্মোচন। সম্পূর্ণ সৌহার্দপূর্ণ-সহাবস্থান বজায় রেখে শিক্ষার্থীরা প্রচারণা চালিয়েছে। আজ নির্বাচনের দিন। নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্নে করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। চবি প্রশাসনের প্রত্যাশা, সকলের সহযোগিতায় সুন্দর ও সফল একটি চাকসু নির্বাচনের সাক্ষী হবে বিশ্ব। চাকসু শুধু একটি সংসদ নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের সেতুবন্ধনস্বরুপ। চবি প্রশাসন প্রত্যাশা করে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যেন শুধুমাত্র পদের ভার বহন না করে, বহন করবে হাজারো শিক্ষার্থীর আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে।