আজ : মঙ্গলবার ║ ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : মঙ্গলবার ║ ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২২শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা আজ

দেশচিন্তা ডেস্ক: সোমবার (৬ অক্টোবর উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মীর পূজা। হিন্দুধর্ম মতে, ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী, বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে লক্ষ্মী যথাক্রমে সীতা ও রাধা রূপে তার সঙ্গিনী হন।

পঞ্জিকা অনুযায়ী, সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এই তিথি শেষ হবে।

প্রাচীনকাল থেকেই রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ সবাই দেবী লক্ষ্মীর পূজা দিয়ে আসছেন। দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কোজাগরী পূর্ণিমায় এই পূজা করে থাকেন।

লক্ষ্মীপূজার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো– সিঁদুর, ঘট, ধান, মাটি, আম্রপল্লব, ফুল, দূর্বা, তুলসীপাতা, হরীতকী, চন্দন, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, আতপ চাল ও জল। লক্ষ্মীপূজায় মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়োর আলপনায় লক্ষ্মীর ছাপ। এ উপলক্ষ্যে রমণীরা উপবাস ব্রত পালন করেন।

লক্ষ্মীপূজায় রাত্রি জাগরণ করা হয়। কোজাগরী অর্থাৎ কে জাগরী বা কে জেগে আছো। শাস্ত্রমতে, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্তদের গৃহে আসেন। তবে যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে বা গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে তিনি ফিরে যান। এজন্য এ পূজায় রাতজাগরণ অপরিহার্য।

লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলো পাঁচালি আকারে পাঠ করা হয়, যা ‘লক্ষ্মীর পাঁচালি’ নামে পরিচিত।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ