দেশচিন্তা ডেস্ক: কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর (জুমাবার) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিটি উপজেলা ও থানায় জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাতকানিয়া উপজেলার উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় পৌরসদরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সাতকানিয়া- লোহাগাড়ার জননন্দিত মজলুম জননেতা সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল ফয়েজ, এম ওয়াজেদ আলী, উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল উদ্দীন, সাতকানিয়া পৌরসভার আমীর অধ্যক্ষ হামিদ উদ্দীন আজাদ, কেরানীহাট শহর শাখার আমীর মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বাঁশখালী উপজেলা উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বেলা ২ টায় জলদীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি আবদুর রহিম, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
বৃহত্তর পটিয়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর জননেতা আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডাঃ ফরিদুল আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, আ.ক.ম ফরিদুল আলম, মহানগরী পেশাজীবী থানার আমীর শাহজাহান মহিউদ্দীন, জেলা শুরা সদস্য মাষ্টার নাছিরুল আলম শেখ, উপজেলা আমীর জসিম উদ্দীন, কালারপোল থানার আমীর মাষ্টার এস এম নাছির উদ্দীন, পটিয়া পৌরসভার আমীর মাষ্টার সেলিম উদ্দীন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
চন্দনাইশ উপজেলা ও উত্তর সাতকানিয়া থানা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় দোহাজারীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণে কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসহাক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডাঃ শাহাদাৎ হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কামাল উদ্দিন, সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন, জেলা শুরা সদস্য ডাঃ আবদুল জলিল, মাওলানা আইয়ুব আলী, চন্দনাইশ উপজেলা আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দীন, উত্তর সাতকানিয়া থানার আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন মো. নোমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে সকাল ৯.৩০ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল মোস্তফা, মুহাম্মদ নুরুল হক, আনোয়ারা উপজেলা আমীর মাষ্টার আবদুল গণি, কর্ণফুলী উপজেলা আমীর মাষ্টার মনির আবছার চৌধুরী সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
বোয়ালখালী উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আবু নাছের, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আরিফুর রশিদ, বোয়ালখালী উপজেলা আমীর ডাঃ খোরশেদ আলম, পৌরসভার আমীর মাষ্টার হারুনুর রশিদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মিছিলোত্তর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করতে হলে জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি প্রদান করার বিকল্প নেই। অথচ জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে না হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হবে। অধিকাংশ দল পিআর নির্বাচন চাইলেও সিদ্ধান্ত নিতে বিভিন্ন টালবাহানা করা হচ্ছে। জামায়াতের পাঁচ দফা বাস্তবায়ন করা শুধু সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপার। সদিচ্ছা থাকলে পাঁচ দফা আমলে নিয়ে ১ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন শেষ করতে পারবে। টালবাহানা করে নির্বাচন পিছানো যাবে না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ এক বছর হয়ে গেলো। আমরা এখনো ফ্যাসিবাদের গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাইনি। খুনি হাসিনা গণহত্যা করে একের পর এক আন্দোলনকে দমন করেছিল। অথচ বিচার বিভাগের বিলম্বের কারণে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অবিলম্বে গণহত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে। সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে জাতির সাথে তামাশা করা হবে।
তারা আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সকল দলের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। অতীতের কোন নির্বাচনে জনগণকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তাই যারা যেভাবে পেরেছে, ভোট কেন্দ্র দখল করে নিজেদের আসন বৃদ্ধি করেছে। তাই উৎসবমুখর নির্বাচনের আয়োজনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আর ফ্যাসিস্টদের সহযোগী জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের অন্যান্য শরীকদের নিষিদ্ধ করতে হবে। নইলে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ তাদের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করবে। তাই সময় থাকতে জামায়াতের ঘোষিত পাঁচ দফা গণদাবি মেনে নিন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায় করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.