দেশচিন্তা ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনতা। এতে করে দক্ষিণ অঞ্চলের অন্তত ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যান চলাচল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি পালন করছে স্থানীয় জনতা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভাঙ্গার পুখুরিয়া ও সুয়াদিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কের ওপর গাছ, বাঁশ ও ইট ফেলে অবরোধ করেছেন কয়েক হাজার স্থানীয় জনতা। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রুটে চলাচলকারীরা।

বিক্ষোভকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে পুখুরিয়া, সোয়াদি ও মনসুরাবাদে মহাসড়কের ওপর গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মানুষ। ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার পরিবর্তে ভাঙ্গা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৫ আসন পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ অবরোধ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, সকাল সোয়া ৮টার পর থেকে একে সবই একে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্ট, পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও হামিরদী বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়ক ও ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ থেকে গোপালগঞ্জ মহাসড়কের মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। এতে মহাসড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কোনো অপ্রতিকার ঘটনা ঘটেনি। অবরোধকারীরা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের মাধ্যমে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ইসির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ ও অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। তারপর থেকে চলছে দফায় দফায় এই সড়ক অবরোধ কর্মসূচি।