দেশচিন্তা ডেস্ক: হাইকোর্ট ঘোষণা করেছে, এখন থেকে সারাদেশের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা, পদোন্নতি ও বদলির দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের হাতে থাকবে। একই সঙ্গে ১৫তম সংশোধনীসহ সংশোধিত বিধানগুলো বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
গত ১৩ আগস্ট বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। সেই দিন আদালত রায়ের জন্য ২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে। শুনানিতে রিট পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আর ইন্টারভেনর ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
এই রুল জারি হয়েছিল ২৩ এপ্রিল। তার আগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০ এপ্রিল এই রুল নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন।
মামলাটি আগে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের বেঞ্চে ছিল। কিন্তু ২৪ মার্চ তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়ায় বেঞ্চ ভেঙে যায়। এর পর রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির নতুন বেঞ্চ গঠনের আবেদন করেন।
মূল রিট আবেদন করা হয় ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট। ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে রিট দাখিল করেন শিশির মনির। রিটে মূলত ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনরায় বহাল করার দাবি করেন তারা। হাইকোর্ট পরে রুল জারি করে জানতে চায়, বর্তমান সংশোধিত ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।
বর্তমান (সংশোধিত) ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে, অধস্তন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ—যেমন পদোন্নতি, বদলি, ছুটি ও শৃঙ্খলা রাষ্ট্রপতি কন্ট্রোল করেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে। কিন্তু ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে এসব নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের অধীন ছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.