দেশচিন্তা ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক তিন মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, কামরুল ইসলাম, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে স্টিলের দোকানের কর্মচারী রাসেল মিয়া হত্যা মামলায়, মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামকে এবং ইমরান হাসান হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফকরুল হাসান ফারুক, জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাহিদ হাসান। অপর চার আসামিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন।
রাসেল হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালী পকেট গেইট সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন রাসেল মিয়া। বিকেলে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন আকলিমা আক্তার ৩০ জুন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ডে রাস্তার ওপর বৈষম্যবিরোধী মিছিলে অংশ নেন মামলার প্রান্ত। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার চাচা নাদিম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন৷
ইমরান হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, আন্দোলনের শেষ দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ১ সেপ্টেম্বর তার মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.