দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি তথা ভিশন ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়নের পথে অপুষ্টির প্রাদুর্ভাব সহ সকল বাধা দূরীকরনের আহবান জানালেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন । তিনি আজ ১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে স্ট্রেনদেনিং ওয়ার্কাস এক্সেস টু পারটিনেন্ট নিউট্রিশন অপরটিউনিটি(স্বপ্ন)বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। গেইন ও এমিনেন্স এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গেইন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড.রুদাবা খন্দকার। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের ডেপুটি পরিচালক আবদুস সালাম, মনিরুজ্জামান বিপুল,মেজর মুরর্তুজা করিম, ও শামীম হায়দার তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্টানে নগরীর তৈরী পোষাক শিল্প হাতে আগত কর্মকতাসহ বিভিন্ন এনজিও নেতৃকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ।মেয়র বলেন এদেশের উন্নয়নের অর্থনৈতিক প্রান হলো আমাদের পোষাক শিল্প।এই শিল্পে নারীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশী। উৎপাদনখাতে ৪০লক্ষ শ্রমিকের মধ্যে শুধুমাত্র তৈরী পোষাকশিল্পে কর্মরত আছে প্রায় ২৩লক্ষ ২০ হাজার নারী শ্রমিক। এই শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে হলে শিল্পে কর্মরত কর্মীদের জন্য নিরাপদ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ ও তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আর কর্মীদের জন্য নিরাপদ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ ও সুস্থতা তাদের কর্মদক্ষতাকে বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিতে সুদুর প্রসারী ভুমিকা রাখবে। মেয়র আরো বলেন আমাদের দেশে বিভিন্ন খাদ্য গ্রুপের সমন্বয়ে নির্বাচিত সুষম খাবার গ্রহণের প্রবণতা নেই বললেই চলে। তারপরেও এটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে পোশাক শিল্পে কর্মীদের উপকারের জন্য কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন খাদ্যগ্রুপের সমন্বয়ে নির্বাচিত পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার নিশ্চিত করনে আপনাদেরকে সহায়তার হাত বাড়াতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি তৈরী পোষাক শিল্পে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে পুষ্ঠিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহন,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা,আয়রণ,ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্টেশন ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে আরো সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে । সেইদিক থেকে আজকের কর্মশালাকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন এর মাধ্যমে পোশাক শিল্পে কর্মরত কর্মীদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি বলেন এমিনেন্স ও গেইন তৈরী পোষাক শিল্পে নিয়োজিত কর্মীদের পুষ্টিহীনতা দুর করার লক্ষে একটি পাইলট প্রজেক্ট গ্রহন করেছে। এতে অধিকাংশ শ্রমিকের রক্ত শুন্যতার মাত্রা কমে আসবে এবং তারা সুস্থ শরীর নিয়ে আরো উদ্যোগী হয়ে কাজে উৎসাহ বোধ করবে। এরিই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটির সম্প্রসারনের কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রামে তৈরী পোষাক শিল্পের ১৫ টি কারখানাকে কর্মীদের পুষ্টি বিষয়ক কর্মসূচির মধ্যে সম্পৃক্ত করণ পুর্বক নিরাপদ ও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করে শ্রম কল্যানসহ ব্যবসায় টেকসই বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করার যে কোনো উদ্যোগে চসিক সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বাস দেন মেয়র।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই সোনার বাংলা তৈরীর রূপ রেখা দিয়ে গেছেন । পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়ে যিনি অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সুস্থ,সবল ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ”৭৫ বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনের আদেশ জারি, তিনিই প্রথম বাংলাদেশে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিষয়টিকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি প্রদান করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিানা ১৯৯২ সালে ইটালিতে প্রথম আন্তর্জাতিক পুষ্টি সম্মেলন,৯৭ সালে প্রথম জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ও ২০১৫ সালে জাতীয় পুষ্টিনীতি গ্রহণ করেন। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরীর বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে:,বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। আর এই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অন্যতম বুনিয়াদ হলে সাধারন জনগণের পুষ্টি উন্নয়ন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.