৫৭ শতাংশ স্বাস্থ্য পেশাজীবী আইন লঙ্ঘন করে শিশুদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে গুঁড়াদুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বক্তারা।
সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের ২০২২ সালের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে ৫৭ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী অপ্রয়োজনীয়ভাবে শিশুদের গুঁড়াদুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন, যা আইন লঙ্ঘন করে। মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত শিশুর বাড়তি খাদ্য এবং সেগুলোর ব্যবহার্য সরঞ্জামের বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৩ ও ২০১৭ সালের বিধিমালার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে গুঁড়াদুধ কোম্পানিগুলো শিশুর গুঁড়াদুধ, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর প্রচারণার জন্য বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে।
সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বলেন, অপ্রয়োজনীয়ভাবে শিশুদের গুঁড়াদুধ খাওয়ানোর জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সবাই দায়ী। এই সমস্যা দূর করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধপান শুধুমাত্র শিশুর পুষ্টি নয়, বরং তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। সেইসঙ্গে মাতৃদুগ্ধদান মায়ের স্তন ক্যান্সার, ডিম্বাশয়, ক্যান্সার ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে বাচ্চা দুধ পাবে। দেশে দারিদ্র্য হার বেশি, অনেক মা ঠিকমতো খেতে পারেন না। মা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন না। শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে এবং বাল্যবিবাহের হারও বেড়ে গেছে। আগে যা নিয়ন্ত্রণে ছিল, এখন তাও নাই। মায়ের বয়সই কম এবং মা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, শিশুর খোঁজ খবর ভালোভাবে কীভাবে নেবেন।
তিনি বলেন, মাতৃকালীন ছুটির সাথে পিতৃকালীন ছুটির কথা বলা হচ্ছে। বাবারা শিশুদের ঠিকমতো সময় দিলে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যায়। অদ্ভুতভাবে চলছে দেশটা, কবে উত্তরণ হবে জানি না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.