১৮ বছর আগে বরখাস্ত হওয়া ৩২৮ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাদের মধে মারা যাওয়া তিনজনের পরিবারকে আইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুবিধাদি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ রায়ে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ১৭ পৃষ্টার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
আপিল বিভাগ রায়ে পর্যবেক্ষণে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা ছিলো স্বাধীন, সার্বভৌম ক্ষমতার ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও চারটি পৃথক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
ওই দিন (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) ৩২৮ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ইসিকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছিলেন আপিল বিভাগ। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে একটি আপিল এবং চারটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করে আদালতে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন।
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতির আদেশ বহাল রেখে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ ইমরান সোহেল। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬৩৭৯৪ । কার্যালয়: ৪০ কদম মোবারক মার্কেট, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম। ইমেল: [email protected]
Copyright © 2025 Desh Chinta. All rights reserved.