আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কড়া নিরাপত্তার মাঝেও ফজলে করিমকে মারতে তেড়ে যান অনেকে : ফাঁসি চেয়ে আদালত চত্বরে স্লোগান

আদালত প্রতিবেদক : চারদিকেই কড়া নিরাপত্তা ও পুলিশি পাহারায় ছিলো আদালত ভবন। কারণ রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হবে- ছিল এমন খবর। কিন্তু বাধা অতিক্রম করেই আদালত ভবনে ঢুকে পড়েন ১০ থেকে ১২ জন যুবক। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা মারতে তেড়ে যান সাবেক এই সংসদ সদস্যকে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাদের।

 

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিন রাউজানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত। এর আগে, চট্টগ্রাম নগর ও জেলা মিলিয়ে মোট পাঁচ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

 

ফজলে করিমের হাজিরাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে আদালত চত্বরের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়। মোতায়ন করা হয় বিপুল পুলিশ। সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট ভবনে আনা হয় ফজলে করিমকে। ভবনের নিচ থেকে সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সেখানে হট্টগোল শুরু করেন কয়েকজন যুবক। তাদের কারো কারো হাতে ছিল ‘ফজলে করিমের ফাঁসি চাই’ লেখা ব্যানার-পোস্টারও।

এ সময় কয়েকজন যুবক পুলিশকে ধাক্কা মেরে ফজলে করিম চৌধুরীর ওপর হামলা করতে দৌঁড়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যানের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু পরে আবার পুলিশের বাধায় তারা পিছু হটে। এ নিয়ে আদালত চত্ত্বরে হট্টগোল লেগে যায়।

 

মারতে উদ্যত হওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ফজলে করিম সন্ত্রাসীদের গডফাদার। সে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে গুম করে হত্যা করে। প্রবাসী মুসা থেকে শুরু করে কম হলেও একডজন গুম ও খুনের সাথে সে জড়িত। ব্যক্তিগতভাবে সে একটি বাহিনী গঠন করে ভিন্নমত পোষণকারীদের জোর করে তুলে নিয়ে যেত। শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করিয়েছে। আমরা ফজলে করিম জুইন্নার ফাঁসি চাই।

নিজেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক দাবি করে এক যুবক বলেন, আমার একটাই দাবি এই জুইন্না রাজাকারের ফাঁসি। যেভাবে তারে প্রশাসন প্রটোকল দিচ্ছে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জননেতা নুরুল আলম নুরু হত্যার এক নম্বর আসামি এই জুইন্না রাজাকার। তার নির্দেশে রাউজানের সব অপকর্ম হয়েছে।

 

ফজলে করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম-৬ আসনে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয় ফজলে করিম চৌধুরীকে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ