আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে হাসান আল মামুনকে অব্যাহতি

দেশচিন্তা ডেস্ক:

ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। প্রথম মামলাটিতে অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। আর পরের মামলাটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। এই দুই মামলার মূল আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্টি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কাছে প্রদান করতে হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হচ্ছে। তিন সদস্য বিশিষ্টি ওই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন পরিষদের ঢাবি সভাপতি বিন ইয়ামিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান এবং রাফিয়া সুলতানা।

জানা গেছে, গত রোববার বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকির অভিযোগে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর পরদিন গত সোমবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল আইনে আরও একটি মামলা করা হয়। এতে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ওই মামলা করেন। ওই ছাত্রীই কোতোয়ালি থানার মামলাটিও করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী। লালবাগ থানার মামলার বর্ণনায় ওই ছাত্রী হাসান আল মামুনের সঙ্গে প্রেম ও প্রণয়ের কথা জানিয়ে বিয়ে নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলেছেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী। একই তরুণীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মূল আসামি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান। আর তিন নম্বর আসামি নুরুল হক নুর। বাকিরা হলেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ