
দেশচিন্তা ডেস্ক: টানা ৬ দিনের অচলাবস্থার পর রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষা গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল।
জানা যায়, সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন, বদলি আদেশ ও শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সংগঠনগুলো।
গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
সংগঠন দুটির নেতাদের ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি এড়াতে তালাবদ্ধ কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত এবং পরীক্ষা চলাকালীন কোনো বিদ্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি কার্যকর থাকবে না।
তবে তারা জানিয়েছেন, ১০ম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। যদিও পরীক্ষার সময় কোনো কর্মসূচি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা হবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এখানে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা এরইমধ্যে ১০ম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।










