আজ : শনিবার ║ ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরাইলকে সতর্ক করল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী

দেশচিন্তা ডেস্ক: লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী ইউনিফিলের কাছাকাছি আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ হামলাকে নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ অভিহিত করে দেশটিকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ইএনআইএফআইএল-এর শান্তিরক্ষীরা তাদের কার্যক্রম আওতাভুক্ত এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলার একটি সিরিজ পর্যবেক্ষণ করেছে।

তিনি বলেন, এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে অননুমোদিত অস্ত্র এবং অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ইসরাইলের এই পদক্ষেপ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে তাদের বিদ্যমান যোগাযোগ এবং সমন্বয় ব্যবস্থা ব্যবহারের আহ্বান জানাই।’

ডুজারিক বলেন, বৃহস্পতিবার লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিনত জবেইল এলাকার কাছে তিনটি মপেডে করে ছয়জন ব্যক্তি টহলরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষদের গাড়ির পেছনে প্রায় তিনটি গুলি ছোড়ে। শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য এবং ১৭০১ প্রস্তাবের গুরুতর লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, এই প্রস্তাবটি ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে শত্রুতা অবসানের জন্য করা হয়েছিল। পাশাপাশি লিতানি নদী ও জাতিসংঘ কর্তৃক চিহ্নিত ব্লু রেখা সীমানার মধ্যে একটি অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।

জাতিসংঘ মহাসিচিবের মুখপাত্র বলেন, আমরা লেবাননের কর্তৃপক্ষকে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক তদন্তের দাবি জানাই।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দক্ষিণ লেবাননের অন্তত তিনটি শহরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নতুন করে বিমান হামলা চালায়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রেয়ি জেবা ও আল-মাজাদেলের বাসিন্দাদের শহর খালি করার নির্দেশনা জারির ঘণ্টাখানেক পরই হামলা শুরু হয়।

যেসব স্থান লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো হলো মাহরুনা নামে একটি ছোট কৃষিভিত্তিক গ্রাম; লিতানি নদীর দক্ষিণে টায়ারের আল-মাজাদেল; লিটানি নদীর উত্তরে এবং বৈরুত থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাবাতিয়ের জেবা; এবং বৈরুত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে নাবাতিয়ে এবং বিনতে জেবিলের মধ্যে অবস্থিত একটি বৃহৎ পাহাড়ি শহর বারাচিত।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইল প্রায় প্রতিদিনই লেবাননে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, এর মধ্যে অন্তত ১২৭ জনই বেসামরিক তথা নিরস্ত্র।

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, ইউনাইটেড নেশন পিসকিপিং

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ