আজ : বৃহস্পতিবার ║ ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বৃহস্পতিবার ║ ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৩ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চবির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ ও প্রফেসর ড. এম. আব্দুল ওয়াহ্হাব এর শোকসভা অনুষ্ঠিত

দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ ও প্রফেসর ড. এম. আব্দুল ওয়াহ্হাব এর স্মরণে এক শোকসভা আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর একটায় লোকপ্রশাসন বিভাগের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ ও প্রফেসর ড. এম. আব্দুল ওয়াহ্হাব স্যার খুবই আন্তরিক মানুষ ছিলেন। আমরা একসাথে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছি। আমরা নিজেদের লেখালেখি নিয়ে প্রায়ই আলাপ করতাম। দুইজনই খুবই নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। তোফায়েল স্যার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চবির সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। তিনি প্রতিটি সিদ্ধান্ত, রেজুলেশন সময় দিয়ে বিশ্লেষণ করতেন। উপাচার্য বলেন, প্রকৃত শিক্ষকদের কোনো মৃত্যু নেই। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে বেঁচে থাকেন আজীবন। আমাদের ক্যাম্পাসে প্রতিভাবান শিক্ষকরা কমতে শুরু করেছে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে উনাদের স্থানগুলো পূরণ করার। পূর্ববর্তী শিক্ষকদের ভালো দিকগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাঁদের মতো নিষ্ঠাবান, সৎ ও ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। এসময় উপাচার্য দুই প্রফেসরের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ ও প্রফেসর ড. এম. আব্দুল ওয়াহ্হাব স্যার দুইজনের মধ্যে আদর্শ শিক্ষকের সব গুণাবলি ছিল। উনাদের লেখালেখিগুলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা উচিত। এর মাধ্যমে লোকপ্রশাসন সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরও সমৃদ্ধ হবে। বিশেষ করে তোফায়েল স্যার বিখ্যাত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ সম্পর্কিত উনার লেখনী গবেষণায় পঠন-পাঠন সংযুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সব সময় ভাবতেন। বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতেন গাইড করতেন। আমি দুই স্যারের জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ যেন জান্নাত নসীব করেন।

চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রফেসর আব্দুল ওয়াহ্হাব স্যার মানুষ হিসেবে ছিলেন অসাধারণ। তিনি গর্বিত শিক্ষক পাশাপাশি গর্বিত পিতা। আর তোফায়েল স্যার বাংলাদেশকে সঠিকভাবে পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব ভাবতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভেবেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। উনারা দুইজনই ছিলেন সত্যবাদী, নিষ্ঠাবান ও নীতিবান শিক্ষক। আল্লাহ উঁনাদের বেহেশতবাসী করুন।

চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্ব শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য শ. ম. নজরুল ইসলাম, চবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ও প্রফেসর ড. আব্দুল ওয়াহ্হাব এর মেয়ে ড. ওয়াহ্হিদা সুমি, চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, প্রফেসর ড. সোনিয়া হক, প্রফেসর ড. কাজী এস.এম. খসরুল আলম কুদ্দুসী, প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মুহাম্মদ ইয়াকুব ও নওশীন ইসলাম। সঞ্চালনা করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান। শোকসভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চবি অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এ.জি.এম নিয়াজ উদ্দিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ