আজ : বুধবার ║ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বুধবার ║ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শীতে প্রতিদিন বিকেলে বাদাম খেলে কী হয়?

দেশচিন্তা ডেস্ক: শীতের ঠান্ডা বাতাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বেশিরভাগ সময় এমন খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ি যা কেবল আরামদায়কই নয় বরং উষ্ণও। তেমনই একটি খাবার হলো বাদাম। শীতের দিনগুলোতে আমাদের বিকেলের নাস্তার অংশ হতে পারে এই পুষ্টিকর খাবার। শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় এক মুঠো বাদাম যোগ করে নিন। এতে মিলবে নানা উপকার।

বাদামের পুষ্টি
বাদাম হলো সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে একটি। এটি প্রোটিন, হেলদি ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই এবং রেসভেরাট্রলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। বাদাম শরীরে উষ্ণতা তৈরি করে, যে কারণে এটি শীতকালের বিকেলগুলোতে নাস্তা হিসেবে অনন্য। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রোটিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, অন্যদিকে নিয়াসিন এবং ফোলেট স্বাস্থ্যকর বিপাকক্রিয়ায় অবদান রাখে।

বাদামে আর্জিনিনও থাকে, যা সেই অ্যামাইনো অ্যাসিডের মধ্যে একটি, যা রক্ত ​​প্রবাহকে সহজ করে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। বাদামের ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিবারণ করে, যা ভাজা বা চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে সন্ধ্যার নাস্তার জন্য এটি একটি চমৎকার পছন্দ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শীতকালে শরীরের বিপাক ধীর হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত কম থাকে। এসময় নিয়মিত বাদাম খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করবে। বাদামে জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি এমন শক্তি দেয় যা দীর্ঘস্থায়ী হয় কারণ এর প্রোটিন এবং চর্বির সংমিশ্রণ ধীরে ধীরে হজম হয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
বাদাম শরীরের অনেক সাহায্য করে, বিশেষ করে সন্ধ্যায় খাওয়া হলে। কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে এবং দেরিতে রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত রাখে। দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বা ক্যালোরি ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

ত্বক এবং চুল ভালো রাখে
ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বককে শুষ্ক এবং খসখসে করে তুলতে পারে। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। বাদাম প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে। এর বায়োটিন চুলকে শক্তিশালী করে এবং ভাঙা রোধ করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে (প্রায় ২৫-৩০ গ্রাম) বাদাম খেলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং শুষ্ক মাসগুলোতে চুল সুস্থ থাকে।

কীভাবে খাবেন
লবণ ছাড়া বা হালকা ভাজা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভাজা বা মসলাযুক্ত বাদামে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং তেল যোগ হয়। তাই এ ধরনের বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। পুষ্টির শোষণের জন্য কাঁচা বাদাম ভাজার আগে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে পিনাট বার তৈরি করেও খেতে পারেন। এটি আয়রন এবং প্রোটিন একত্রিত করার একটি স্মার্ট উপায়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ