
দেশচিন্তা ডেস্ক: মধ্যাহ্ন বিরতির পর ক্রিজে নেমে আক্ষেপে পুড়লেন মমিনুল হক। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থেকে আউট হয়েছেন তিনি। তবে নিজের শততম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবার ফিফটি হাঁকালেন মুশফিকুর রহিম।
শনিবার (২২ নভেম্বর) মিরপুরে টেস্টের চতুর্থ দিনে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতির পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংস শেষে ২১১ রানে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। সবমিলিয়ে আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল ৫০৯ রানের।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৭৬ রানের জবাবে ২৬৫ রানে থেমেছিল আইরিশদের ইনিংস। স্বাগতিকদের সামনে সুযোগ ছিল ফলোঅনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সফরকারীদের ইনিংস ব্যবধানে হারানোর। তবে সেটি কাজে লাগায়নি লাল সবুজরা। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট করতে নামে। যেখানে পাঁচ ব্যাটারের চার জনই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তৃতীয় দিনে ৯১ বলে ৬ চারের মারে ৬০ রানে আউট হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আরেক ওপেনার সাদমান অবশ্য সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। তবে চতুর্থ দিনে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। এদিন মাত্র ৯ রান করেছেন। তাতে ১১৯ বলে ৭ চারের মারে ৭৮ রানে থামে তার ইনিংস।
তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে ব্যর্থ হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ বলে ১ রান করে বিদায় নেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে তোলেন মমিনুল ও মুশফিক। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে দুজনে গড়ে ১০৬ রানের জুটি। মুশফিক ৪৪ আর মমিনুল ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে বিরতিতে যান। পরিকল্পনা ছিল দুজনের মাইলফলক অর্জনের পর ইনিংস ঘোষণার।
তবে বিরতি থেকে ফিরে মুশফিক ফিফটি তুলে নিলেও আক্ষেপে পুড়েন মমিনুল। তার বিদায়ের পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ১১৮ বলে ১০ চারের মারে ৮৭ রান করে গভিন হোয়ের শিকার হন। ৮১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক। প্রথম ইনিংসে ২১৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এ অভিজ্ঞ তারকা।
এর আগে সিলেটে প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।











