
দেশচিন্তা ডেস্ক: স্টিফেন ডোহেনির সঙ্গে ৮১ রানের জুটির পর জর্ডান নেইলের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি। লর্কান টাকার টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। কিন্তু তারপরও ব্যর্থ হয়েছেন ফলোঅন এড়াতে। যদিও সে সুযোগ কাজে না লাগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের ফিফটিতে তৃতীয় দিন শেষে লিড সাড়ে তিনশ পার করলো লাল সবুজরা।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জয় ৬০ রান করে আউট হলেও ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত রয়েছেন সাদমান।
ফলোঅনের শঙ্কা নিয়েই তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমেছিল আয়ারল্যান্ড। ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৯৮ রান। তখনো তারা পিছিয়ে ছিল ৩৭৮ রানে। বিপর্যয় কাটিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ডোহেনিকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়েন টাকার। ৭৭ বলে ৪ চারের মারে ৪৬ রান করে তাইজুলের বলে ডোহেনি বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি। একই ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকেও (০) বোল্ড করে আইরিশ শিবিরে চাপ বাড়ান তাইজুল।
তবে অষ্টম উইকেটে টাকারকে সঙ্গ দেন নেইল। দুজনের ব্যাটে মনে হচ্ছিল ফলোঅন এড়িয়ে ফেলবে আয়ারল্যান্ড। তবে ৮৩ বলে ৯ চারের মারে ৪৯ রানে নেইল এবাদতের শিকার হলে ফের একা হয়ে পড়েন টাকার। শেষদিকে গভিন হোয়ে ও ম্যাথিউ হামফ্রিসরা তাকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৭১ বলে ৭ চারের মারে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন টাকার।
আইরিশদের ২৬৫ রানে আটকে দেওয়ার পথে ৭৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাতে তিনি যৌথভাবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বনে গেছেন। আর ১টি উইকেট পেলে সাকিবকে ছাড়িয়ে তিনি হবে এ ফরম্যাটে টাইগারদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এদিন হাসান মুরাদ ও খালেদ আহমেদও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে প্রথম ইনিংস শেষে ২১১ রানে এগিয়ে থাকায় আইরিশদের আবার ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে সেটি না করে ফের ব্যাটিংয়ে নামে লাল সবুজরা। ওপেনিং জুটিতে আধিপত্য করে গড়ে ১১৯ রানের জুটি। ৯১ বলে ৬ চারের মারে হোয়ের বলে জয় এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে টাইগারদের ওপেনিং জুটি। শেষদিকে সাদমানকে সঙ্গ নিয়ে আর কোনো উইকেট পতন হতে দেননি মমিনুল হক। ১১০ বলে ৫ চারের মারে ৬৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন সাদমান। ২১ বলে ৪ চারের মারে ১৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন মমিনুল।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান করেছিল স্বাগতিকরা। লিটন ১২৮ আর মুশফিক ১০৬ রান করেছেন। আইরিশদের হয়ে ১০৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ম্যাকব্রাইন। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার হিসেবে এ টেস্টে শততম ম্যাচ খেলছেন মুশফিক।
সিরিজের প্রথম টেস্টে সিলেটে আইরিশদের ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ১-০’তে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।










